মোঃ খায়রুল বাশার মিঠু, ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
সাধারনত পত্র পত্রিকার শিরোনাম হয়ে থাকে কালভার্টের অভাবে জনসাধারণের ভোগান্তি। তবে কিছুটা ব্যাতিক্রম হলেও এটাই সত্য যে কালভার্ট আছে কিন্তু তাতে চলে না গাড়ি, চলে না মানুষ। এরকমই দৃশ্য চোখে পড়বে ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকুন্ডার প্রত্যান্ত চরাঞ্চলে।
লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর, বিলকেদার, কামালপুরসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের বর্ষাকালীন দূর্ভোগ এড়াতে ও চরাঞ্চল থেকে আবাদী ফসল আনা নেওয়ার সুবিধার্থে দূর্যোগ ও ত্রানমন্ত্রাণালয়ের আওতায় ১ ডজনের বেশি ছোট বড় কালভার্ট তৈরী করা হয়েছিল। তবে তা কতটা কাজে লেগেছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যার বেশিটভাগ কালভার্টই দেখলে মনে হবে অপ্রয়োজনে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা অপব্যায় করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কিছু কিছু কালভার্ট ব্যাবহৃত হলেও অধিকাংশ কালভার্ট দিয়ে মানুষ বা গাড়ি আসলে কোনটায় চলে না। কিছু কালভার্টের আবার সড়কের সাথে কোনো সংযোগই নেই আর কিছু কালভার্টের পাশ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে নতুন রাস্তা। প্রশ্ন হলো যে জনসাধারনের দূর্ভোগ এড়াতেই সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করে তৈরী করা হয়েছে এসব কালভার্ট, সেগুলো ব্যাবহার না করে কেনোই বা এসব পার্শ্ব রাস্তা তৈরী করা হলো আর কেনই বা কালভার্টের এ দশা। দেখা গেছে প্রতিটি কালভার্টের পাশেই গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ ইটভাটা।
প্রতিদিন এসব অবৈধ ইটভাটার ইট ও কাচামাল মাটির সরবরাহ করতে যেসব যানবাহন ব্যাবহৃত হয় সেগুলো এসব কালভার্টের প্রস্থ অনুযায়ী চলাচলের অযোগ্য। শুধু ইটভাটা নয় এসব রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে শতশত অবৈধ বালু ও মাটির গাড়ি। এ জন্যই মূলত অবৈধ ইটভাটা ও অবৈধ বালু ব্যাবসায়ীদের সুবিধার্থে ড্রামট্রাকসহ বড় গাড়ি চলাচলের জন্য এসব কালভার্ট গুলোকে চলাচলের অযোগ্য করে পার্শ্ব রাস্তা তৈরী করছে। আর এসব অসাধু ব্যাবসায়ীদের জন্যই মূলত দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
Posted ৫:৫৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ জানুয়ারি ২০২১
desh24.com.bd | azad